কল্পবিজ্ঞান

350.00

বইয়ের নাম- কল্পবিজ্ঞান
সম্পাদনা- সুদীপ দেব
প্রকাশক- পলান্ন
পেপারব্যাক, ২৯০ পৃষ্ঠা, ৩৫০/- টাকা

Category:

Description

কল্পবিশ্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মনের ভিতরে প্রশ্ন জেগেছিল, খুব কী দরকার দরজার ওপারে চলতে থাকা ক্যামিক্যাল রিয়াকশন প্রত্যক্ষ করে বর্তমান চিন্তাভাবনার ভিত নাড়িয়ে দেওয়া! ভালোই তো ভূত, তন্ত্র মন্ত্র, রক্ত লীলা বা নিখুঁত প্রেমী হয়ে বসে থেকে ঘড়ির কাটা ছুটতে দেখা – কীসের নালিশ থাকতে পারে তাতে! কিন্তু না, পা রাখলাম ওপারে। হঠাৎ সিলিংয়ে দুরন্ত গতিতে ঘুরতে থাকা ফ্যানের হাওয়া বেশ লাগতে শুরু করল। শুয়ে থেকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম সেদিকেই, ক্রমে ভিতরের আমিটাকে নিয়ে হাজির হলাম অচেনার জগতে! হাতে ধরে আছি এই বইটি – “কল্পবিজ্ঞান”

খেয়াল করলাম সামনে দাঁড়িয়ে দুজন মানুষ, যাদের আচার আচরণ মানুষের মত হলেও আমি বুঝতে পেরেছিলাম তাদের চিন্তাধারা মানুষের থেকে অনেক উন্নত! দুজন তাদের পরিচয় দিলেন, তাদের নাম – সুদীপ দেব এবং রেবন্ত গোস্বামী।
তখন যেন নেশায় ধরেছে আমায়! চিন্তা শক্তির আড়ালে এসব কী হচ্ছে জানা যে খুব প্রয়োজন!
রঙিন রামধণু রঙে বর্ণময় পথের উপরে বসে পড়ি আমি। খুলে দেখি কী আছে লেখা বইটির ভিতরে! দুজন মানুষের মুখে ক্ষিণ হাসি আমার নজরে পড়ল। পুরো বিষয়টি কেমন যেন অকল্পনীয়!

সূচিপত্রে চোখ বোলাতে কতগুলো গল্প চোখে পড়ে। তবে সময় নষ্ট না করে সরাসরি গল্পের মধ্যেই ঢুকে পড়লাম।

১. দ্রোহ : ঋজু গাঙ্গুলী
মহাকাশের কোনো এক প্রান্তে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। একজন মহান মানবীর আত্মত্যাগ আর এক বীর যন্ত্রগণকের উপকথা রচিত হয়েছে এই গল্পে। পোরোরোয়াস এবং আরুয়াসী।
সু-মারু নামের একটি গ্রহের ভূমিগর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ধাতুর পাত, যার মধ্যে কিছু অতি প্রাচীন পার্থিব লিপি পাঠোদ্ধার করে কিছু বিশেষজ্ঞ। তাদের মতে সেখানে একটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। ক্রমে জানা যায়, ঘটনাটির সঙ্গে মিল রয়েছে আমাদের সমাজের পৌরাণিক কিছু চরিত্রের।

২. মন : ঐশিক মজুমদার
প্রফেসর অনির্বান রায় এবং তার আবিষ্কার নিয়ে এই গল্প। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আর প্রযুক্তির সহযোগিতায় যন্ত্রটি তৈরি হয়। বহুবার ব্যর্থ হওয়ার পরে সাফল্যের হাতছানি অনুভব করেছিল সেদিন। সাবজেক্ট রজত শীল হয়তো বুঝতে পেরেছিল বহুকাল ধরে নিথর হয়ে পড়ে থাকা তার শরীর ও মনে কিছুটা হলেও আন্দোলন তৈরি হবে প্রফেসরের নতুন আবিষ্কারের কৃপায়! কিন্ত হঠাৎ একটি ঘটনা বদলে দেয় সবকিছু।

৩. রামধনু রং : সুদীপ দেব
ভালোবাসার মানে কি! কেন হয় ভালোবাসা! বর্ণ, গন্ধ বা শরীর মেনেই কী চলতে থাকে ভালোবাসার স্রোত! কেউ জানে আবার অনেকে জানেনা। তবে যুগ পাল্টেছে, ভিতরের গোঁড়ামি ও ব্যাধিকে ভুলতে শিখেছে সকলে। তবুও ভয় বিরাজ করে। যদি কখনো কোনো ভাবে কেউ জানতে পারে তখন…! ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিকে আশ্রয় করে কোনো এক নতুন ডাইমেনশনে পাড়ি জমাতেও সক্ষম আধুনিক মানুষ। কিন্তু তবুও কুন্তল ভয় পায় বারবার। যদি বিদিশা জানতে পারে! ববি কি শেষ পর্যন্ত সবকিছু বলে দেবে?

৪. বসন্ত এসে গেছে : বিশ্বদীপ দে
জিলের বৈবাহিক জীবন অস্থির হয়ে উঠেছে লেস্টারের ব্যবহারের জন্য। সদা ব্যস্ত মানুষটি তার সুন্দরী স্ত্রীকে সময় বা গুরুত্ব কোনোটাই দিতে পছন্দ করে না। এমন কি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নীচু মানসিকতার পরিচয় দেয় লেস্টার। কিন্তু হঠাৎ একদিন সব পাল্টে যায়। জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটিকে যখন ক্রমে দূরে সরে যেতে দেখে জিল, যখন সে মনস্থির করে বাকি জীবনটা নিজের সাথেই কাটিয়ে দেবে। ঠিক তখনই সে বুঝতে পারে লেস্টার তাকে বড্ড ভালোবাসে! জিল ভয় পেত লেস্টারকে, এখন সে আশ্চর্য হয়! এই মানুষটি যদি লেস্টার হয়, তাহলে এখন জিলের কি করা উচিত! প্রেমের বাঁধনে বাঁধবে নিজেকে! না কি ভেঙে ফেলবে এই অভিনয়ের মুখোশ – নিজের হাতে!

৫. অভিশাপ খোঁজে ধর্ম : অর্ঘ্য দত্ত
আদি এবং অন্ত দুটোই অত্যন্ত বাস্তব। বাস্তবিকই সবকিছুই অবিনশ্বর। কিন্তু সকলেই বাঁচতে চায়। ধীরে সেই আকাঙ্ক্ষা বয়ে নিয়ে আসে এক অভিশাপ। যার মারণ কামড়ে অন্ধ হয় প্রজন্ম, রুদ্ধ হয় গতি।
গল্পটি লেখকের ভাষায় আধুনিক কল্পবিজ্ঞান এবং ফ্যান্টাসির ধারাতে পৌরাণিক কিছু বিশেষ ঘটনা এবং পাত্রকে বিশেষ ভাবে স্থান দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
।| সাল ২৩২৪, অত্যন্ত গোপনীয় একটি লক্ষ্য। সেই সময়ে বৈজ্ঞানিক নিরীক্ষণ, ধ্বংস হতে থাকা পৃথিবী থেকে মানব জাতিকে উদ্ধারের প্রয়াস এবং ক্রমে মানসিক দ্বন্ধের অতুলনীয় প্রেক্ষাপট রচনা করা হয়েছে গল্পটির প্রতিটি লাইনে।
(* গল্পটি বাকিদের থেকে অনেক খানি বড়। বড় করে না হলেও ছোট করে একটিবার লেখকের গবেষণাকে সাধুবাদ জানানো উচিত।)

৬. মেমোরি লেন: সিদ্ধার্থ পাল
আচ্ছা, যদি এমন কোনো যন্ত্র থাকে যার মাধ্যমে অতীতকে চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যায়! আচ্ছা, সেই যন্ত্র আপনি হাতে পেলে প্রথমেই কি করতে চাইবেন! পুরানো স্মৃতিগুলোকে দেখে কোনো ফাঁক খুঁজে পেলে ভরাট করতে চাইবেন আশা করি। সেরকমই কিছু ভাবতেন ম্যালকম সাহেব। যেটা অসম্ভব হলেও শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তি তার ম্যাজিক দেখায়। তিনি জানতে চেয়েছিলেন তার প্ৰ প্ৰ প্ৰ মাতামহ এমিলিয়া তার স্বামী আলেকজান্ডার বার্নস সম্বন্ধে ঠিক তথ্য লিখে গিয়েছেন কি না! সকলে জানে কাবুল শহরে অসংখ্য উন্মত্ত আফগানদের হাতে বার্নস নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু এমিলিয়া লিখে গিয়েছেন অন্য কথা। সেই কথার সত্যতা যাচাই করার ইচ্ছে “মেমোরি লেন” আবিষ্কারক ডক্টর অভিক রায় আর সত্য অনুসন্ধানী ম্যালকম সাহেবকে নিয়ে হাজির করে দন্ডায়মান বিভীষিকার সামনে। এবং সেখান থেকেই এক অন্য বাস্তবের মুখোমুখি হয় ডক্টর অভিক রায়।

৭. যুগান্তর : প্রিয়াঙ্কা চ্যাটার্জী
এই গল্পের প্রেক্ষাপটে রয়েছে একজন আদর্শবান রাজা যে চিন্তিত তার রাজ্য এবং কন্যাকে নিয়ে। রাজ্যে চলতে থাকা প্রজাদের বিদ্রোহ খণ্ডন করতে প্রজা হিতৈষী বিধি চালু করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। অপরদিকে সুন্দরী কন্যার যোগ্য স্বামী নির্বাচনে চূড়ান্ত ব্যর্থতার সম্মুখীন হয় এই রাজা। কিন্তু হঠাৎ ঘটে যায় একটি ঘটনা। রাজা এবং রাজকুমারীর সময়কাল পরিবর্তন ঘটে তাদের অজান্তেই।
রাজা কি পারবে তার চিন্তা থেকে মুক্ত হতে? রাজকুমারী তার পছন্দের কুমারকে চয়ন করতে কি সমর্থ হবে?
চিন্তা ও বিবেচনার যুগান্তর ঘটায় গল্পের প্রতিটি লাইন।

৮. কুটীলপুরী : শরন্যা মুখোপাধ্যায়
বহুযুগ ধরে চলতে থাকা কিছু গোপন কার্যকলাপ জানতে পারা সত্যিই আশ্চর্যের। আর তাও যদি হয় কোনো এক বাড়ির অন্দরমহলে। কলকাতা থেকে সত্তর কিলোমিটার দক্ষিণে নন্দনগর বা খণ্ডহর নাম জায়গাটির। একটি বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে প্রায় আশি বছর ধরে। সমরেন্দ্র তালুকদার নামে একজন ভদ্রলোক বাড়িটিতে থাকতেন। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় থেকে নানান ব্যবসা করে অনেক টাকাই করেছিলেন তিনি।
কি আছে ওই বাড়িতে! কিসের ব্যবসা করত সমরেন্দ্র! আর বাড়িটিই কেন সকলের কাছে এত ভয়ের বিষয়!
এই সব তথ্যই লুকিয়ে আছে বাড়িটির এবং গল্পটির মধ্যে।

৯. ভ্রূণ : অর্ঘ্যজিৎ গুহ
বিটা চাইল্ড এইট! জিনিসটি কি!
টাউন-সি এর গবেষণাগারে রাখা নথি হুবহু মিলে যাচ্ছে ডক্টর পার্থসারথীর রক্তের নমুনার সাথে। সুপার প্ল্যানেট “জেনেসিস-১” এর একটি নির্দিষ্ট পদে তাকে নিয়োগ করা হয়েছে যার কাজ হল প্রজেক্ট “ড্রিমেক্স-১” এর মাধ্যমে মানুষকে সুখে রাখা, শান্তিতে রাখা। সকলে তাকে ডক্টর হ্যাপিনেস নামেই চেনে।
কিন্তু সবকিছুর পিছনে জট বাঁধছিল একটি চক্রান্ত।
বহু বছর আগের একটি ঘটনা থেকে যার সূত্রপাত। অমরত্বের যোগসূত্র রয়েছে তার সাথে।
ক্ষমতা ও আধিপত্যের লোভে নিকৃষ্টতম কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় বিশেষ একজন।
মানসিক দ্বন্ধ, স্পর্ধা, প্রতি স্পর্ধার এক অদ্ভুত লড়াইয়ে শেষ হয় সবকিছু। কিন্তু সেই উপসংহারে পৌঁছানো এত সহজ ছিল না।
কে এই ডক্টর পার্থসারথী! কি হয়েছিল তার সাথে!
প্রশ্নটা আবার মনে জেগে উঠল – বিটা চাইল্ড এইট কি?

১০. জেকব মিশন : শৌভিক চৌধুরী
নিমন্ত্রণ পেয়ে আপনি আপনার বন্ধুর বাড়ি গেলেন। পেট পুরে খেলেন। আতিথেয়তা পেয়ে উল্লসিত হয়ে আপনার মনে হতেই পারে – এটি আপনার জীবনের সবথেকে সুন্দর মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি।
কিন্তু যখন আপনি জানবেন বন্ধুর এত ভালোবাসা, এত অতিথি সৎকারের পিছনে লুকিয়ে আছে কোনো এক অজানা রহস্য!
ডক্টর কর্ণ বোস-এর সাথেও ঠিক এমনি কিছু হয়েছিল। নিমন্ত্রণ পেয়ে বন্ধু প্রফেসর ইন্দ্র সেনের বাড়িতে সে গিয়েছিল। তারপরে কর্ণের হাতে আসে ইন্দ্রের ডায়েরী যার থেকে সে জানতে পারে অদ্ভুত এক তথ্য। সারা শরীরে খেলে যায় অদ্ভুত শিহরণ। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনকে দেখে নিথর হয়ে শুধু দাঁড়িয়ে থাকে কর্ণ।
কিন্তু শেষে হাসিও ফুটে উঠেছিল এক কর্ণের মুখে।
কি ছিল সেই ডায়েরীতে…!

১১. মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক : পরাগ ভূঁইঞা
কিছুদিন আগেই শুনছিলাম দুজন ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন।
একজন জিজ্ঞাসা করছে, “আচ্ছা, মাল্টিভার্সি কী জিনিস!”
আরেকজন অবাক হয়ে চেয়ে থাকে।
তখন আরেকজন বলে, “আমরা খুব অল্পই জানি মাল্টিভার্স নিয়ে!”
সত্যি কি এই মাল্টিভার্স?
আচ্ছা ভাবুন, আপনি আপনার জগতে একজন ডাক্তার। আপনি প্রাণ বাঁচান খুব দায়িত্ব নিয়ে। রোগীরা আপনার কাছে শুয়ে থেকে নিশ্চিন্ত হয়, এবারের যাত্রায় সে রক্ষা পাবেই পাবে।
এবার আরেকটু ভাবুন, আপনার জগতের মতোই আরেকটি জগতে আপনার মত আরেকজন বেঁচে আছে যার কাছে প্রাণ ছিনিয়ে নেওয়া হল জীবনের মূল উদ্দেশ্য। সামনে শুয়ে থাকা মানুষ প্রাণ ভিক্ষা করে আপনার কাছে। তাতেই আপনার তৃপ্তি।
আবার সেইরকম আরেকটি জগতে আপনি বেঁচে থাকেন অন্য এক ভাবমূর্তি নিয়ে। আবার আরেকটি জগৎ…তারপরে আরেকটি…এইভাবে যদি অগণিত পৃথিবীর অস্থিত্ব সত্যিই প্রমাণিত হয়। এবং যদি তাদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের পদ্ধতি জানা সম্ভব হয়ে ওঠে তখন তাকে আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন!
এবার মানছেন তো মদ্যপান সত্যি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক!

১২. সৌপ্তিক : শ্রীজিৎ সরকার
মানুষের তৈরি এ-আই “গ্লো-গ্রীন”
হঠাৎ করেই নিজেকে অভিযোজিত করে নিয়েছে। এখন মানুষের তৈরি লজিককে প্রশ্ন করে সে নিজে! ফলে নেপচুনের সাথে পৃথিবীর যোগাযোগ বন্ধ হয়। সেখানে তৈরি লেন্স পাঠানো বন্ধ করে দেয় “গ্লো-গ্রীন”
বরং সেখানে তার মত করে উপনিবেশ স্থাপনে মন সংযোগ করে এই অতি আধুনিক প্রযুক্তি।
হঠাৎ সৌপ্তিক নামক গ্রহ থেকে একটি স্পেস শিপ অবতরণ করে নেপচুনে। তারপরে সেই যান থেকে বেরিয়ে আসা পোশাকধারী একজন মানুষ একটি বিশেষ প্রস্তাব রাখে “গ্লো-গ্রীন” এর সামনে। তার কাছে এমন কিছু আছে যাতে কিছু সময়ের মধ্যে রিচার্জ হবে নেপচুনে বসবাসকারী রোবট। কিন্তু বিনিময়ে সে দাবি করে তার নিজের প্রাণ!
কি হবে এর পরে?
সকল রোবট কি নতুন করে রিচার্জড হয়ে কেড়ে নেবে মানুষটির প্রাণ! না কি অন্য কিছু ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তার এবং “গ্লো-গ্রীন”-এর জন্য!

হঠাৎ কানে আসে একটি প্রশ্ন, “কেমন লাগল?”

চোখের সামনে ঘূর্ণনটা অনুভব করছি এখনো। যেন আরো গভীরে প্রবেশ করছি আমি। বাস্তব অবাস্তবের দোলাচলে কখনো কখনো অস্থির বোধ হলেও আগ্রহ যেন নড়তে বাঁধা দেয়। সময়ের ব্যাখ্যা ভুলেছি অনেক সময় আগেই। কারণ এখন বুঝেছি সময়ের আসল সংজ্ঞা আমাদের অজানা।
পুরান, ডিসটোপিয়া, প্যারাডক্স, ইউটোপিয়া সবকিছু সারিবদ্ধভাবে খেল দেখিয়েছে তার নিজের ভঙ্গিতে। বিজ্ঞানের আসল অস্থিত্ব বজায় থাকে যতক্ষন বেঁচে থাকে প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টায় অঙ্কুরিত হয় মানুষের কল্পনা।
সবকটি গল্পই অসাধারণ। তবে ভালো লাগার বিচারে জানতে চাইলে আমি বলব-
১. অভিশাপ খোঁজে ধর্ম
২. রামধনু রং
৩. দ্রোহ
৪. মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক
৫. মন
৬. মেমোরি-লেন
৭. ভ্রূণ
৮. যুগান্তর
৯. জেকব-মিশন
১০. সৌপ্তিক
১১. বসন্ত এসে গেছে
১২. কুটিলপুরী

সবকটি গল্পের সাথে ছবিগুলো বেশ অর্থবহ। শিল্পীরা সমান ভাবেই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
বইটির ছাপা ও লে-আউট অত্যন্ত পরিষ্কার ও আরামদায়ক। সামগ্রিকভাবে, যদি আপনি কল্পবিজ্ঞান কাহিনির অনুরাগী হন তাহলে এই বইটি আপনার ভালো লাগবে বলেই আমার ধারণা। তবে হ্যাঁ, অর্ঘ্য দত্তের লেখা অভিশাপ খোঁজে ধর্ম, একটু সময় নিয়ে পড়বেন। ওটি লা-জবাব।
লেখক ও প্রকাশকের উদ্দেশে রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “কল্পবিজ্ঞান”

Your email address will not be published. Required fields are marked *