Description
প্রখ্যাত লেখক এবং সমালোচক ঋজু গাঙ্গুলীর কলমে উঠে এল “ভয়ের চেয়ে ভয়ঙ্কর” এর কথা। এমন বিদগ্ধ ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে উৎসাহ পেলে সাহসটা অনেক খানি বেড়ে যায় বই কী!!
প্রত্যেক গল্পে হেডপিস, গল্পের শেষে ও মাঝে মোটিফ, অত্যন্ত ভালো পাতা-ছাপা-বাঁধাই, যথাসম্ভব শুদ্ধ বানান ও নয়নসুখকর লে-আউট। ছোটো প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত একটা ভয়ের গল্পের সংকলনে এ-সব জিনিস শেষ কবে দেখেছেন?
আমি তো স্রেফ ফিদা হয়ে গেলাম এই বই নিয়ে।
ওহো! আপনারা বইয়ের লেখাগুলো কেমন সেটা জানার অপেক্ষায় বসে আছেন তো। রাইট। সেটাই লিখি।
সম্পাদক পরাগ ভূঞ্যা’র একটি অণু-সম্পাদকীয়-র পর এতে মোট কুড়িটি গল্প এবং দু’টি চিত্রকাহিনি আছে। শেষোক্ত কাজদু’টি বড়োই ছোটো বলে ঠিক তৃপ্তি হল না। তবে কুড়িটি লেখা, যার মধ্যে অনেকগুলোই বেশ বড়ো আকারের, পড়ে ভেবলে গেলাম। ভালো-মন্দ-র কথা পরে। সম্পাদক এত আলাদা-আলাদা গল্পগুলো জোগাড় করলেন কী করে?
আমার নিজের যে গল্পগুলোকে অত্যন্ত প্রভাবশালী (ভালো-মন্দ বড়ো সাবজেক্টিভ; বরং ছাপ রেখে যাওয়ার ব্যাপারটা বেশি পরিমাপযোগ্য) বলে মনে হল, সেগুলো হল~
১) সৈকত মুখোপাধ্যায়ের ‘উল্কাপাতের মাঠে’;
২) পার্থ দে’র ‘শ্রোডিংগারের বেড়াল’;
৩) অনুষ্টুপ শেঠ-এর ‘পাহাড়চূড়া’;
৪) দীপ ঘোষের ‘উজানে বয় বৈতরণি’;
৫) ঐষিক মজুমদারের ‘অভিযোজন’;
৬) লুৎফুল কায়সারের ‘মোহ’;
৭) দেবলীনা চট্টোপাধ্যায়ের ‘ডাক’;
৮) রানা মুখার্জি’র ‘দ্য ডেথ গেম’;
৯) রাজর্ষি গোস্বামী’র ‘অশনি সংকেত’;
১০) রাহুল দাসের ‘মায়াবিল।
এদের মধ্যে কোনো গল্প মনস্তত্ত্বের শরীরী ব্যাখ্যার বীভৎসতায় গা গুলিয়ে তোলে। কোনো গল্প কল্পবিজ্ঞানের কাঠামোয় হাড় অবধি কাঁপিয়ে দেয়। কোথাও থাকে প্রাচীন অভিশাপ আর লোভের দ্বন্দ্ব। কোথাও থাকে কৌতূহল দিয়ে শুরু হওয়া এক অবিশ্বাস্য হয়েও কঠোরভাবে সত্যি মরণখেলা। কোনো গল্পে ছোটোবেলার আইকনরা জলের মধ্য থেকে বুদ্বুদের মতো দেখা দিয়ে তলিয়ে যান অতলে। আবার কোথাও একবুক মায়া নিয়ে অপেক্ষা করে অমোঘ নিয়তি।
এ সত্যিই অন্য লেভেলের সংকলন।
যদি সযত্নে গড়ে তোলা ভয়ের গল্প পড়তে পছন্দ করেন, তাহলে এই বই আপনারই জন্য।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই বইয়ে জনৈক ঋজু গাঙ্গুলী’র লেখা একটি গল্প আছে। ওটুকু বাদ দিয়েও বইটির পাঠযোগ্যতা কিছুমাত্র কমবে না— এটা দায়িত্ব নিয়েই বলে যাই।
এরপরেও যদি এখনও হিং টিং ছট আর ঘাড় মটকানো ভূতের গল্পই পড়েন তাহলে আর কিছু বলার নেই।
Reviews
There are no reviews yet.